ছবি সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের কার্যক্রম থাকবে না, এটা কীভাবে সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকেই শিবিরের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সম্প্রতি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাদিক কায়েম ভাইয়ের ফ্যাসিবাদ ও ছাত্র রাজনীতি সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে অনেকে এই আন্দোলনের সব ক্রেডিট ছাত্রশিবিরের বলে মন্তব্য করছেন। অথচ ঢাবি সভাপতি তার পোস্টে এ রকম কোনো দাবি করেননি। বরং শুরু থেকেই ছাত্রশিবির এ আন্দোলনের সফলতার কৃতিত্ব দল-মত নির্বিশেষে বৈপ্লবিক ছাত্র-জনতাকে দিয়ে এসেছে। আমরা মনে করি, সবাই নিজের দলীয় কিংবা গোষ্ঠী পরিচয় পেছনে রেখে জাতীয় স্বার্থে এক কাতারে শামিল হতে পারা এ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। এ জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির তার পথচলার শুরু থেকে ছাত্রদেরকে আল্লাহভীরু, নৈতিকতাসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে আমাদের এ পথচলা কখনও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বিশেষত বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আমাদের লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক নানামুখী জুলুম-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আমাদের শত শত ভাই শাহাদাৎ বরণ করেছেন। অনেক ভাই পঙ্গুত্ব বরণ করেছনে। হাজার হাজার ভাইকে কারাবন্দি হতে হয়েছে। ৬ জন ভাই এখনও গুম অবস্থায় আছেন। অসংখ্য ভাই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমনকি সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমাদের সংগঠন পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছে। এরপরও একটি দিনের জন্যও আমাদের কার্যক্রম থেমে থাকেনি। এটা একান্ত আল্লাহর সাহায্য ও কৌশল।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম অনেকের কাছে নতুনত্ব মনে হচ্ছে। মূলত ফ্যাসিস্টরা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ ছাত্র-জনতার জানার সুযোগ কম ছিল। হয়তো এ কারণে অনেকের কাছে ছাত্রশিবির নতুন করে কার্যক্রম শুরু করছে বলে মনে হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির পরিচয় মিডিয়ার সামনে আসায় অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকেই ছাত্রশিবিরের যাত্রা শুরু হয়। অথচ সেই ঢাবিতে শিবিরের কার্যক্রম থাকবে না এটা কীভাবে সম্ভব।